Islam সালাতের আগে-পরে ও মাঝে জিকিরসমূহ

সালাতের আগে-পরে ও মাঝে জিকিরসমূহ



১. ওযুর পূর্বে জিকির:

بِسْمِ اللّٰهِ
বিস্‌মিল্লাহ্
অর্থঃ আল্লাহ্‌র নামে
[আবূ দাউদ, নং ১০১; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৯৭; আহমাদ নং ৯৪১৮। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল ১/১২২।]

২. ওযু শেষ করার পর জিকির #১

أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
আশ্‌হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ

অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।
[মুসলিম ১/২০৯, নং ২৩৪।]

২.১ ওযু শেষ করার পর জিকির #২

اللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
আল্লা-হুম্মাজ‘আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ‘আলনী মিনাল মুতাতাহ্‌হিরীন
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।

[তিরিমিযী-১/৭৮, নং ৫৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/১৮।]

২.২ ওযু শেষ করার পর জিকির #৩

سُبْحانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ 
সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোন হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি

[নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, পৃ. ১৭৩। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, ১/১৩৫, ৩/৯৪।]

৩. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ

للّٰهُمَّ اجْعَلْ فِيْ قَلْبِيْ نُوْراً، وَفِيْ لِسَانِيْ نُوْراً، وَفِيْ سَمْعِيْ نُوْراً، وَفِيْ بَصَرِيْ نُوْراً، وَمِنْ فَوْقِيْ نُوْراً، وَمِنْ تَحْتِيْ نُوْراً، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ نُوْراً، وَعَنْ شِمَالِيْ نُوْراً، وَمِنْ أَمَامِيْ نُوْراً، وَمِنْ خَلْفِيْ نُوْراً، وَاجْعَلْ فِيْ نَفْسِيْ نُوْراً، وَأَعْظِمْ لِيْ نُوْراً، وَعَظِّمْ لِيْ نُوْراً، وَاجْعَلْ لِيْ نُوْراً، وَاجْعَلْنِيْ نُوْراً، اللّٰهُمَّ أَعْطِنِيْ نُوْراً، وَاجْعَلْ فِيْ عَصَبِيْ نُوْراً، وَفِيْ لَحْمِيْ نُوْراً، وَفِيْ دَمِيْ نُوْراً، وَفِيْ شَعْرِيْ نُوْراً، وَفِيْ بَشَرِيْ نُوْراً، 

আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্‌তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্‌সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্‌যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্‌মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্‌তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন।
[এ শব্দগুলোর জন্য দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১১৬, নং ৬৩১৬; মুসলিম ১/৫২৬, ৫২৯, ৫৩০, নং ৭৬৩। ]

اللّٰهُمَّ اجْعَلْ لِيْ نُوْراً فِيْ قَبْرِي… وَنُوْراً فِيْ عِظَامِيْ 
আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী... ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন
[তিরমিযী ৫/৪৮৩, নং ৩৪১৯।]

وَزِدْنِيْ نُوْراً، وَزِدْنِيْ نُوْراً، وَزِدْنِيْ نُوْراً
ওয়া যিদ্‌নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান

অর্থঃ আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন

[ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৬৯৫; পৃ. ২৫৮; আর আলবানী সেটার সনদকে সহীহ আদাবিল মুফরাদে সহীহ বলেছেন, নং ৫৩৬।]

وَهَبْ لِيْ نُوْراً عَلَى نُوْرٍ
ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর
আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন

[হাফেয ইবন হাজার এটাকে তার ফতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন এবং ইবন আবী আসেমের ‘কিতাবুদ দো‘আ’ এর দিকে সম্পর্কিত করেছেন। দেখুন ফাতহুল বারী, ১১/১১৮। আরও বলেছেন, বিভিন্ন বর্ণনা থেকে মোট ২৫ (পঁচিশটি) বিষয় পাওয়া গেল।]

৪. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “সুন্নাত হচ্ছে, যখন তুমি মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন তোমার ডান পা দিয়ে ঢুকবে, আর যখন বের হবে, তখন বাম পা দিয়ে বের হবে” [১]
তাই ডান পা দিয়ে ঢুকবে এবং বলবে,
أَعُوْذُ بِاللّٰهِ العَظِيْمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থঃ আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [২]

بِسْمِ اللّٰهِ
বিসমিল্লা-হি
অর্থঃ আল্লাহ্‌র নামে (প্রবেশ করছি) [৩]

وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ
ওয়াসসালাতু ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হি
অর্থঃ সালাত ও সালাম আল্লাহ্‌র রাসূলের উপর। [৪]

اللّٰهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
আল্লা-হুম্মাফ্‌তাহ লী আবওয়া-বা রাহ্‌মাতিকা
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। [৫]

[১] হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন, হাকিম ১/২১৮; এবং একে মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী সেটার সমর্থন করেছেন। আরও উদ্ধৃত করেছেন বাইহাকী, ২/৪৪২; আর শাইখ আলবানী তার সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা গ্রন্থে এটাকে হাসান বলেছেন, ৫/৬২৪; নং ২৪৭৮। 
[২] আবূ দাউদ, নং ৪৬৬; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪৫৯১। 
[৩] ইবনুসসুন্নি কর্তৃক উদ্ধৃত, নং ৮। আর শাইখ আলবানী তার আস-সামারুল মুস্তাতাব গ্রন্থে একে হাসান বলেছেন, পৃ. ৬০৭। 
[৪] আবূ দাউদ ১/১২৬; নং ৪৬৫; আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ১/৫২৮। 

[৫] মুসলিম ১/৪৯৪, নং ৭১৩; আর সুনান ইবন মাজায় ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীসে এসেছে, “হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ অবারিত করে দিন”। আর শাইখ আলবানী অন্যান্য শাহেদ বা সম অর্থের বর্ণনার কারণে একে সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১২৮-১২৯।

সালাতের আগে-পরে ও মাঝে জিকিরসমূহ - পর্ব ২ 


১. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ

বাম পা দিয়ে শুরু করবে [১] এবং বলবে,

بِسْمِ اللّٰهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُوْلِ اللّٰهِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللّٰهُمَّ اعْصِمْنِيْ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ،

অর্থঃ আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্‌র রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন

উচ্চারণঃ স্‌মিল্লা-হি ওয়াস্‌সালা-তু ওয়াস্‌সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।

[১] আল-হাকিম, ১/২১৮; বাইহাকী, ২/৪৪২, আর শাইখ আলবানী তার সিলসিলাতুস সহীহায় একে হাসান হাদীস বলেছেন, ৫/৬২৪, নং ২৪৭৮।

২. আযানের যিকির সমূহ

মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে

حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ وَحَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ
উচ্চারণঃ হাইয়্যা ‘আলাস্‌সালাহ, হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’
অর্থঃ নামাযের দিকে আসো, কল্যানের দিকে আসো
...এর সময় বলবে,

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ
উচ্চারণঃ  লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ
অর্থঃ  আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। [১]

মুয়াযযিনের কথার জবাব দেওয়া শেষ করার পর বলবে,

اللّٰهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ، وَابْعَثْهُ مَقَامَاً مَحمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَهُ، [إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ]
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, (ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ)

অর্থঃ হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। (নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।) [২]
এরপর দুরুদ পাঠ করতে হবে।

[১] বুখারী, ১/১৫২, নং ৬১১, ৬১৩; মুসলিম, ১/২৮৮, নং ৩৮৩।
[২] মুসলিম ৩/১৫৫৭, নং ১৯৬৭; বায়হাকী ৯/২৮৭, দু ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকী থেকে, ৯/২৮৭, ইত্যাদি। তবে সর্বশেষ বাক্যটি ইমাম মুসলিমের বর্ণনা থেকে অর্থ হিসেবে গৃহীত।

৩. সালাতের শুরুতে দো‘আ #১

উচ্চারণঃ সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গাইরুকা
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্‌ নেই।

মুসলিম, নং ৩৯৯; আর সুনান গ্রন্থকার চারজন। আবু দাউদ, নং ৭৭৫; তিরমিযী, নং ২৪৩; ইবন মাজাহ্‌, নং ৮০৬; নাসাঈ, নং ৮৯৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৭৭; সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/১৩৫।

৩.১ সালাতের শুরুতে দো‘আ #২

وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيْفَاً وَّمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ، إِنَّ صَلاَتِي، وَنُسُكِي، وَمَحْيَايَ، وَمَمَاتِيْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ
উচ্চারণঃ ওয়াজ্জাহ্‌তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী, ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। লা শারীকা লাহু ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।
অর্থঃ যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আমি একনিষ্টভাবে আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকেই ফিরালাম, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী বা যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্‌র জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি এরই আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।

 ৪. রুকূ‘র দো‘আ

তিনবার বলবে,
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণঃ সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম
অর্থঃ আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি
সুনানের গ্রন্থাকারগণ ও আহমাদ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৮৭০; তিরমিযী, নং ২৬২; নাসাঈ, নং ১০০৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৮৯৭; আহমাদ, নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।

৫. রুকু থেকে উঠার দো‘আ

رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثِيْراً  طَيِّباً مُبارَكاً فِيْهِ
উচ্চারণঃ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি।

অর্থঃ হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।
বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮৪, নং ৭৯৬।

৬. সিজদার দো‘আ

তিনবার বলবে,
سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى
উচ্চারণঃ সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা
অর্থঃ আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।
হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ ও ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।

৭. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ #১

رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণঃ রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী।
অর্থঃ হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।
আবূ দাউদ ১/২৩১, নং ৮৭৪; ইবন মাজাহ্‌ নং ৮৯৭। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৪৮।

৭.১ দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ #২

اللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِيْ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন

হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযী, নং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৯০; সহীহ ইবন মাজাহ ১/১৪৮।

 

Post a Comment

0 Comments