ভোগবাদী সমাজে ভোগের সব উপকরণ থাকলেও এখানে সত্যিকারের সুখ ও নির্মল প্রশান্তির বড্ড অভাব। সব কিছু থাকার পরও যেন কিছু একটা নেই। এজন্য একটুখানি আনন্দ ও বিনোদনের জন্য মানুষ কতো কিছু যে ট্রাই করে! এরপরও সত্যিকারের মানসিক প্রশান্তি অর্জন করতে পারে না।
তরুণদের আমরা কোনো আদর্শে দীক্ষিত করতে পারিনি। দেখাতে পারিনি প্রকৃত সুখের পথ। এজন্য তারা কখনো শ্রীলংকান মেয়ের গানে বুঁদ হয়, কখনো বাদাম-বিক্রেতার সামান্য গানের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। উদ্দেশ্য, একটুখানি আনন্দ! কিন্তু এতে কখনো কখনো দুঃখের উপর সাময়িক প্রলেপ পড়ে বটে, স্থায়ী উপশম হয় না।
মূলত তরুণরাসহ গোটা সমাজের মানুষ আজ দিশেহারা। শয়তান সুখের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মরীচিকার পেছনে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে আমাদেরকে।
অথচ সুখের সৃষ্টিকর্তা প্রকৃত সুখ রেখেছেন কেবল তাঁর কাছে আত্মসমর্পন ও বন্দেগীর মধ্যে। তিনি বলেন— ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই শুধু চিত্ত প্রশান্ত হয়।’ (সূরা রাদ: আয়াত ২৮)
শ্রীলংকান মেয়ের গানের কথামালায় কী ছিল, কী ভ্যালুই বা আছে বাদাম বিক্রেতার গানের কথায়? এমন তুচ্ছ একটা গানের পেছনে যদি পঙ্গপালের মতো কোটি কোটি তরুণ ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাহলে কিয়ামতের আগে অলৌকিক সব ক্ষমতা দেখানো দাজ্জালের পেছনে কতো বেশি অন্ধের মতো ছুটবে মানুষ!
হে মহামহিম, আপনি আমাদেরকে আপনার গোলামির স্বাদ আস্বাদনের তাওফীক দিন, পরিচালিত করুন হিদায়েতের রাজপথে।
0 Comments